সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৪৬ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার: শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, বাজেটে সব বিষয়ে বরাদ্দ থাকা প্রয়োজন নেই। এ বিষয়ে বরাদ্দ না থাকলেও মন্ত্রণালয়ের যে বরাদ্দ আছে এবং অর্থমন্ত্রীর যে থোক বরাদ্দ আছে, সেখান থেকে এমপিওভুক্তি করানো সম্ভব। এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে।আজ সোমবার সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টে এফসিসিআইয়ের দুটি মাইক্রোবাসের চাবি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নে মন্ত্রী এ কথা বলেন।অর্থমন্ত্রীর বাজেট বক্তৃতায় নতুন বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির বিষয়ে স্পষ্ট ঘোষণা না পেয়ে আন্দোলনে নামা বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের রোজার মধ্যে কষ্ট না করে বাড়ি ফিরে যেতে অনুরোধ জানান শিক্ষামন্ত্রী।বাজেটের সার্বিক গাইডলাইন্সকে ধরে এমপিও দেওয়া হবে জানিয়ে নাহিদ বলেন, আমি আশা করি, এটা নিয়ে আন্দোলন করার কোনো প্রয়োজন নেই। মিছামিছি রোজার মাসে কষ্ট না করার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি। আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
তিনি বলেন, অর্থমন্ত্রী নিজেও কথা দিয়েছেন, আমরা এমপিওভুক্তি করার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। এ ব্যাপারে আমরা আগে থেকেই কাজ শুরু করেছি। এটা বাজেটে উল্লেখ করা জরুরি কোনো বিষয় না, অনেক বিষয়ই তো উল্লেখ নেই। এটা বাজেটে আছে কি না এটার সঙ্গে সম্পর্কিত না, আমরা এমপিওভুক্ত করবই। উপযুক্ত বরাদ্দ আছে, হয়ত উল্লেখ করে তিনি কিছু বলেননি। সার্বিক অর্থের মধ্যে সব টাকাই দেওয়া আছে।এমপিওভুক্তির দাবিতে সোমবার দ্বিতীয় দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষক-কর্মচারীরা। এ দিনও আগের দিনের মতো পুলিশি বাধায় পড়েন আন্দোলনরত শিক্ষক-কর্মচারীরা।আজ শুরুতে প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালনে সমবেত হলে শিক্ষক-কর্মচারীদের পুলিশ বাধা দেয়। এর পর সহস্রাধিক শিক্ষক-কর্মচারী প্রেস ক্লাবের মূল সড়কের বিপরীত পাশে অবস্থান নেন। সেখানেও তাদের বাধা দেয়া হয় বলে অভিযোগ আসে।এদিকে আজ নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যক্ষ গোলাম মাহমুদুন্নবী ডলার বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা বাস্তবায়ন না হওয়ায় আমরা আবারও রাজপথে নামতে বাধ্য হয়েছি। ন্যায্য দাবি আদায়ে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে শিক্ষক-কর্মচারীরা জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান নিলেও পুলিশ শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা সৃষ্টি করছে। সকল বাধা উপেক্ষা করে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। এ কারণে প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে শিক্ষক-কর্মচারীরা আন্দোলনে যোগ দিচ্ছেন। দাবি আদায় নানা হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলেও ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।